পদ্মা সেতু কয়টি জেলাকে সংযুক্ত করবে বিস্তারিত জানুন
  প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন পদ্মা সেতুটি কয়টি জেলাকে সংযুক্ত করবে
  এবং পদ্মা সেতু কোন বিভাগে অবস্থিত সে সম্পর্কে। তাহলে আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি
  পড়ুন কেননা আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে শেয়ার করব পদ্মা সেতু কয়টি জেলাকে
  সংযুক্ত করবে তাই আপনিও যদি জানতে চান পদ্মা সেতু সম্পর্কে তাহলে আপনাকে এই
  আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
  পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়ায় দুই পাশের মানুষের চলাফেরা অনেক সুবিধা হয়ে গেছে আগে
  আর একটা সময় পদ্মা সেতু পাড়ি দেওয়ার জন্য অনেক বিপদের মুখে পড়তে হয়েছে
  কিন্তু সেই দিন শেষে আজ পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে তাই আমরা আজকে আপনাদের সাথে
  শেয়ার করতে যাচ্ছি পদ্মা সেতু কয়টি জেলাকে সংযুক্ত করবে এবং পদ্মা সেতুর বিভাগে
  অবস্থিত। তাই আপনি যদি পদ্মা সেতু সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
  কনটেন্ট সূচিপত্রঃপদ্মা সেতু কয়টি জেলাকে সংযুক্ত করবে
ভূমিকা:পদ্মা সেতু কয়টি জেলাকে সংযুক্ত করবে এবং পদ্মা সেতু কোন বিভাগে অবস্থিত
  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ এর
  পরিকল্পনা করা হয় এবং সবশেষে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করে নদীর দুইপাশে প্রান্তের
  মানুষদের একত্রিত করেছে।যাতায়াত ব্যবস্থা থেকে শুরু করে এক জেলা থেকে অন্য
  জেলায় যাওয়ার ব্যবস্থা গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। তার কারণ শুধুমাত্র পদ্মা সেতু
  নির্মাণ তাই আজকে আমরা জন্ম পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য কি কি কাজ করা হয়েছে
  পদ্মা সেটিতে কি ধরনের রেললাইনের ব্যবহার করা হয়েছে,
  পদ্মা সেতু কয়টি জেলাকে সংযুক্ত করবে, পদ্মা সেতু কোন বিভাগে অবস্থিত,পদ্মা
  সেতুর জন্য নদী শাসন করা হয় কত কিলোমিটার, এছাড়াও পদ্মা সেতু কোন কোন জেলাকে
  সংযুক্ত করছে, পদ্মা সেতুর গভীরতা কত, এবং পদ্মা সেতু কোন দুই উপজেলাকে সংযুক্ত
  করছে এ সমস্ত বিষয়গুলো আজকের এই আর্টিকেল পড়ে জেনে নিব।
পদ্মা সেতুর জন্য নদী শাসন করা হয় কত কিলোমিটার
  আজ পচিশে জুন উদ্বোধন করা হলো স্বপ্নের পদ্মা সেত। নিজের টাকায় তৈরি সেতুর
  উদ্বোধনের অপেক্ষায় ছিল পুরো দেশবাসী। শুধুমাত্র দেশের সবচেয়ে বড় সেতু এমনটা
  নয় বিস্মরণতম চ্যালেঞ্জিং একটি প্রজেক্ট ছিল এই সেতু। এর মাধ্যমে বাঙালি আরো
  একবার বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেখিয়ে দিল। আমরাও পারি যেকোনো সময়ে যেকোনো পদক্ষেপ
  নিতে।
  পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ১৯ টি
  জেলা সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে। তাইতো আপনাদেরকে জানাতে যাচ্ছি পদ্মা সেতুর
  জন্য নদী শাসন করা হয় কত কিলোমিটার। পদ্মাই প্রতি সেকেন্ডে প্রবাহিত হচ্ছে ১ লাখ
  ৪০ হাজার ঘনমিটার পানির। বর্ষায় প্রমতার কারণে নদী এখন কিছুটা শান্ত পরিবেশে
  রয়েছে তাই এই সুযোগে প্রতিদিন ফেলা হচ্ছে শত শত ভালো ভর্তি জিও ব্যাগ।
  ভালো ক্ষতি করে বড় নৌকা নিয়ে আসা হচ্ছে মাছ নদীতে আর সেখানে নদী শাসনের জন্য
  আনা পাঁচটি বড় বার্জ বস্তা ভরাট করা হচ্ছে ডাম্পিংয়ের জন্য। গত মৌসুমী কাজের অংশ
  হিসেবে ১২৫ কেজি ওজনের জিও ব্যাগ ফেলা হলেও এবারের মূল কাজে ব্যবহার করা হবে ৮০০
  কেজি ওজনের জিও ব্যগ। চলতি মৌসুমী মাওয়া প্রান্তে ফেলা হয়েছে ১৪ লাখ
  বস্তা। 
  আরো পড়ুনঃ
    ধর্য সফলতার চাবিকাঠি ধর্য ও সফলতা
  সেতু নির্মাণের দু পাড়কে রক্ষা রাখার জন্য এবং পাশাপাশি নদীর স্রোতকে
  নিয়ন্ত্রণের জন্য এই নদী শাসন প্রকল্প। নদী স্বাসন সম্পর্কে প্রকৌশলী লিথে হেল
  বলেছেন যে পদ্মা সেতুর নদী শাসন খুবই কঠিন একটি কাজ এখানকার নদী দের যে ১৪
  ব্যবহৃত হয় তা বিশ্বের যেকোনো নদীর চেয়েও বেশি। এ অবস্থায় যদি শাসনের কাজ হয়ে
  যায় তাহলে পদ্মার দুই কুল কে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
  মাওয়া প্রান্তে দেড় কিলোমিটার এবং জার্সিরা প্রান্তে প্রায় 11 কিলোমিটার
  এলাকায় নদী শাসন করা হয় এবং নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত চলতে থাকবে এ চলমান
  কাজ। এই দুই পাড়ে নদী শাসন হওয়ার কথা ছিল প্রায় ১২ কিলোমিটার এটির ও কাজ বউ
  মাটির নদীর তলদেশে ঘননা ও পাহাড় বাঁধাইয়ের কাজ রয়েছে।
  নদী শাসন করার জন্য এক কোটি 33 লাখ কংক্রিটের ব্লগ এবং দুই কোটির বেশি ভালো ভর্তি
  জিও ব্যাগ প্রয়োজন। পদ্মা নদী খননের ফলে ২১২ কোটি ঘনফুট ভালু স্থান্তর করতে হবে।
  আর এই কাজটি পেয়ে যায় চীনের আরেক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন।
  তাদের সাথে এই কাজটি করার জন্য চুক্তি হয় ২০১৪ সালের নভেম্বরে।
  চুক্তিমূল্য দ্বারা ৮ হাজার ৭০০ ৮ কোটি টাকা। ৪৮ মাস অর্থাৎ আগামী বছরের
  ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার বয়সসীমা রয়েছে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩ হাজার
  ১৫ কোটি টাকা।তাহলে আপনি নিশ্চয়ই জানতে পারলেন পদ্মা সেতুর জন্য নদী শাসন করা
  হয় কত কিলোমিটার।
পদ্মা সেতু কোন কোন জেলাকে সংযুক্ত করেছে
  পদ্মা সেতু পদ্মা বহুমুখী যা হচ্ছে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত  করা
  একটি পদ্মা সেতু ও রেল সেতু। পদ্মা সেতুর কারণে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে
  শরীয়তপুর এবং মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়েছে। পদ্মা সেতু ২০২২ সালের ২৫ শে জুন
  উদ্বোধন করা হয় এই দিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাওয়া
  প্রান্ত দিয়ে প্রদান করে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন
  করেন।
  পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য বাংলাদেশের একটি বিশাল চ্যালেঞ্জিং ছিল। পদ্মা সেতুর
  দুই স্তর বিশিষ্ট ইস্পাত এবং কংক্রিট নির্মিত ক্ষেতের উপরে চার লাইন সড়ক পথ এবং
  নিচের লাইনের একটি একক রেল পথ নির্মাণ করা হয়। পদ্মা ব্রক্ষপুত্র ও মেঘনা নদীর
  অববাহিকায় নির্মিত ৪১ টি স্প্যাম দিয়ে তৈরি। প্রতিটি স্পেন লম্বায় ১৫০.১২
  মিটার এবং ৪৯২.৫ ফুট ও চৌড়ায় ২২. ৫ মিটার অর্থাৎ ৭৪ ফুট সেতুর মোট দৈর্ঘ্য 6.15
  কিলোমিটার।
  আরো পড়ুনঃ
  দৈন্দদিন জীবনে ফিটনেস ভালো রাখার উপায়
  পদ্মা সেতুর পরিকল্পনা অনুসারে প্রকল্পটি তিনটি জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে
  মুন্সিগঞ্জ মাওয়া, মাওয়া পয়েন্টের উত্তরপাড় এবং শরীয়তপুর ও মাদারীপুর
  জঞ্জজিরা দক্ষিণপাড়া। পদ্মা সেতুর জন্য প্রয়োজনীয় এবং জমির পরিমাণ দাঁড়াই ৯১৮
  হেক্টর। আপনি এবারে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন পদ্মা সেতু কোন কোন জেলাকে সংযুক্ত
  করেছে।
পদ্মা সেতু কোন বিভাগে অবস্থিত
  ঢাকার গুলিস্তান সায়েদাবাদ ও জাতীয় বাড়ি থেকে একই রুটে বিভিন্ন পরিবহনের
  অসংখ্য বাস্প অসংখ্য বাস থেকে ১৫ মিনিট পর পর চলাচল করে থাকে। গুলিস্তান সুন্দরবন
  স্কয়ার মার্কেটে পূর্বপাশে এবং যাত্রীবাড়ী গোল চত্তরের পূর্ব দক্ষিণ দিকে থেকে
  ঢাকা মাওয়া ও ঢাকা শ্রীনগর টঙ্গীবাড়ি স্থান থেকে বাস ছেড়ে যাই ঢাকা থেকে এই
  জেলার ভাড়া মাত্র ৬০ টাকা এবং মিরপুর থেকে বাস ভাড়া মাত্র ১০০ টাকা। 
  মুন্সিগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
  মুন্সীগঞ্জের উত্তরে ঢাকা জেলার ও নারায়ণগঞ্জ জেলা রয়েছে মাদারীপুর জেলা ও
  শরীয়তপুর জেলা পূর্ব দিকে রয়েছে কুমিল্লা জেলা ও চাঁদপুর জেলা আর পশ্চিম দিকে
  রয়েছে ফরিদপুর জেলা এই কয়েকটি জেলার ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। তাই যদি বলা
  হয়ে থাকে অবস্থিত তা ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত।
পদ্মা সেতুর গভীরতা কত
  ১৯৭১ সালের দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী জাপান থেকে জরিপ
  বিশেষজ্ঞদের একটি দলপূর্ব পাকিস্তানে বর্তমানে বাংলাদেশের নিকট ফরিদপুর সড়ক
  নির্মাণের একটি সম্ভাব্য প্রতিবেদন তৈরি করা হয় সারাটি নির্মাণের অংশ হিসেবে তার
  পদ্মা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের পরামর্শ দেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম
  রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান পদ্মা নদীর উপর দিয়ে একটি সেতু তৈরি করার ঘোষণা
  দিলেও তার মৃত্যুবরণ করার জন্য সে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
  ১৯৯৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকার রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার পশ্চিমা অঞ্চল
  দক্ষিণ অঞ্চলের মধ্যে যারা সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য ঢাকা মাওয়া ভাঙ্গা
  খুলনা মহাসড়কেওদের উপরে ২১ সেতু নির্মাণের জন্য ৩৬৪৩.৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প
  বাস্তবায়ন জারি করা হয় ৭৫০ কোটি টাকা জাতীয় উৎস থেকে যোগান দেওয়ার পরিকল্পনা
  করা হয়। 
  আরো পড়ুনঃ ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা করতে কত টাকা লাগে
  এই প্রস্তাবে ৯৯ সালে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে 2004 সালের জুনে শেষ করা
  কথা হলেও তা সম্ভব হয়নি। ৯৯৯ সালের মে মাসে উক্ত সেতু পরিকল্পনার যাচাই পরীক্ষা
  শুরু।২০০১ সালে জুলাই মাওয়া জাজিরা প্রান্ত থেকে খেজুর ভিত্তি স্থাপন করেন
  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। এটি
  বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু। 
  গঙ্গা নদীর পদ্মা সেতুর স্প্যান সংখ্যা ও মোট দৈর্ঘ্যের উপর পদ্মা নদীর দীর্ঘতম
  এই সেতু 128 মিটার অর্থাৎ ৪২০ ফিট গভীর। পদ্মা সেতুরে চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের
  জিডিপি 1.2 শতাংশ বৃদ্ধি হয়ে বলে আশা করা যায়।
পদ্মা সেতু কয়টি জেলাকে সংযুক্ত করবে
  পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জ শরীয়তপুর মাদারীপুর তিনটি জেলার উপরে নির্মিত দেশের
  বৃহত্তম সেতু হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। মাওয়া মুন্সিগঞ্জ সাথে জাজিরা শরীয়তপুর
  বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তকে যুক্ত করবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে দক্ষিণা
  দক্ষিণাঞ্চলের ২১ টি জেলাকে সংযুক্ত করেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
  সেতুর ভিত্তি স্থাপন করে ২০০১ সালে ৪ জুলাই। বিশ্ব দীর্ঘতম চাষ সেতু বলা হয় পদের
  সাথে দৈর্ঘ্য ৬ পয়েন্ট ১৫ কিলোমিটার।
  এবং এই সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২ টি। এবং পদ্মা সেতু নির্মাণের ভূমিকম্প
  সহনশীলতায় নয় মাত্রা। পদ্মা সেতুর সর্বশেষ ৪১ তম স্পেন বসানো হয় ২০২০ সালের
  ১০ই ডিসেম্বর।এবং পদের সাথে নির্মাণের আগে নদী শাসন করা ১২ কিলোমিটার। পুরা
  বিশ্বের বৃহত্তম সরস্বতীর তালিকায় পদ্মা সেতুর অবস্থান রয়েছে 25 তম।
  দক্ষিণ ও এশিয়ার মধ্যে ষষ্ঠ সময় হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মেয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে
  ঢাকা যশোর রেলপথে দৈর্ঘ্য মাত্র ১৬৯ কিলোমিটার।পদ্মা সেতু নির্মাণ করেন
  প্রতিষ্ঠান মূল সেতু চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন পায়ে পদ্মা
  সেতু নির্মাণ করেন এবং পদ্মা সেতুর জন্য নদী শাসন করে সিনো হাইড্রো কপোরেশন
  লিমিটেড।
  পুরো এই পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে মোট ব্যয় হয় ৩০ হাজার ১৯৩.৩৯ কোটি টাকা।
  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ২৫ শে জুন নিজ হাতে টোল দিয়ে টোল
  আহরণ করে পদ্মা সেতু পাড়ি দেন। জেলার উপর আর তাই আজ এই পদ্মা সেতু মুন্সিগঞ্জ
  শরীয়তপুর মাদারীপুর নির্মিত এ বৃহত্তম সেতু। মুন্সিগঞ্জ সাথে জালজিরা শরীয়তপুর
  বাংলাদেশের উত্তরা দক্ষিণ প্রান্তকে যুক্ত করবে যা জনগণের যাতায়াতের জন্য খুবই
  সহজ একটি মাধ্যম।
পদ্মা সেতুতে কি ধরনের রেললাইন ব্যবহার করা হয়েছে
  পদ্মা সেতুতে কি ধরনের রেললাইন ব্যবহার করা হয়েছে আপনি জানলে অবাক হবেন পদ্মা
  সেতুতে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম ব্যালাস্টলেস রেললাইন। পদ্মা সেতুদের দোতলার
  অবকাঠামোর নিচতলার স্টিলের ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। সেতুর ওপর রেললাইন বসানো
  সম্পন্ন কাজ শেষ করেছে কীর্তিপক্ষ। ৬.১৫ কিলোমিটার দেওঘর এই সেতুতে ব্যালাস্টলেস
  বা পাথরবিহীন এই রেলপথ। এবং নিচ তলা দিয়ে চলাচল করবে রেললাইন।
  মাসে রেলপক্ষকে সেতু বুঝিয়ে দেওয়ার পর যৌথ পরিদর্শন করেন। দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ
  শেষে সেতুর ওপর রেললাইন বসানোর নকশা। সেতুর উভয় প্রান্তেই ভায়াডাক্টে বসানো
  হয়েছে দেশের প্রথম পাথরবিহীন রেললাইন। মাওয়া এবং ভাঙ্গা সেশন নান্দনিক ভাঙ্গা
  রেল জংশনসহ চারটি রেল স্টেশনের কাজে এগিয়ে যাচ্ছে অনেক দ্রুততার সাথে।
  পদ্মা সেতুর রেলওয়ে প্রকল্পের মাওয়া ভাঙ্গা সেকশন সূত্র জানাই যে সেজন্য
  নিচতলার স্টিলের অবকাঠামোর ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। ৫.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের
  সূচিতে হবে ব্যালাস্টলেস রেললাইন আনুমানিক এত সময় লাগতে পারে ছয় মাস। পদ্মা
  সেতুর জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তের রেলের ভায়াডাক্টের ওপর ব্যালাস্টলেস কাজ প্রায়
  শেষের দিক। মাওয়া প্রান্তে ভায়াডাক্ট ২.৫৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এর মধ্যে ১ পয়েন্ট
  ১৭ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
  এবং বাকি অংশের রেল লাইনের বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্ট
  ৪.৩ কিলোমিটার এর কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৬.১২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট মধ্য উপর টাক
  প্যানেল বসিয়ে কংক্রিটিং করে তৈরি হয়েছে রেললাইন পথ।ঢাকা ভাঙ্গা ৮২ কিলোমিটারের
  দূরত্বের রেলের কাজ শেষ হয়েছে ৭০% শতাংশ।
  শেষ হয়েছে ১৪ কিলোমিটার রেল লাইন বসানোর কাজ পদ্মা সেতু রেল লিঙ্ক প্রকল্পের
  আওতায় ১৭২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঢাকা থেকে যশোর রেলপথ নির্মাণ কাজের মেয়াদ
  রয়েছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। পদ্মা সেতু রেল লিঙ্ক প্রকল্পের রেলট্রাক ইনচার্জ
  আব্দুল হাই জানিয়েছেন ব্যালাস্টলেস এবারে প্রথম বসানো হয়েছে বাংলাদেশের রেল
  লাইনের প্রথম পদ্মা সেতুতে।
  ব্যালাস্টলেস ট্রাকের সুবিধা হল যাত্রা আরামদায়ক হবে এবং এতে করে কোন ঝাকুনি
  থাকবে না।ঢাকা থেকে যশোর রেললাইন পথে থাকবে বৃষ্টিরও বেশি রেল স্টেশন ১৬টি রেল
  স্টেশন নতুন ভাবে তৈরি করা হবে আর বাকি চারটি পুরাতন স্টেশন সাজে করা হবে আধুনিক।
  তাহলে প্রিয় পাঠক আপনিও নিশ্চয়ই এখন জানতে পারলেন সেটিতে কি ধরনের রেললাইন
  ব্যবহার করা হয়েছে।
শেষ কথা:পদ্মা সেতু কয়টি জেলাকে সংযুক্ত করবে এবং পদ্মা সেতু কোন বিভাগে অবস্থিত
  প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে
  পড়ে পদ্মা সেতু কয়টি জেলাকে সংযুক্ত করবে এবং পদ্মা সেতু কোন বিভাগে অবস্থিত সে
  সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দর ভাবে জানতেও বুঝতে পেরেছেন।আশা করছি এই আর্টিকেলটি
  আপনার অনেক উপকারে আসবে এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের সঙ্গে এতক্ষণ
  থাকার জন্য।
  যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের
  সাথে এবং আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর আপনি যদি নিয়মিত আর্টিকেল
  পড়তে ভালোবাসেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আজ এ পর্যন্ত বন্ধুরা
  আবারো কথা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে সে পর্যন্ত সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url