কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা
  আপনারা কি কারিগরি শিক্ষা বিষয়ে পড়তে চান? কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে বৃত্তিমূলক
  ও কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং কারিগরি শিক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে
  জানতে চাচ্ছেন? তাই আমরা এই আর্টিকেলে আপনাকে কারিগরি শিক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা
  সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাই আপনি যদি কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে না জেনে
  থাকেন তাহলে গুরুত্ব কি সেটাও জেনে নিন। তাহলে চলুন বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে
  জেনে নেওয়া যাক কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার
  প্রয়োজনীয়তা কি?
  আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে
  আমি আশা করছি আপনিও জেনে যেতে পারবেন কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে বৃত্তিমূলক ও
  কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং কারিগরি শিক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা। তাই আপনি
  যদি কারিগরি শিক্ষার জন্য জানতে চান তাহলে আপনি কোথাও না গিয়ে এই পোস্টটি স্টেপ
  বাই স্টেপ পড়তে থাকুন।
  আর্টিকেল সূচিপত্রঃকারিগরি শিক্ষা কাকে বলে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার
  প্রয়োজনীয়তা
সূচনাঃকারিগরি শিক্ষা কাকে বলে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা
  বর্তমান সময়ে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির যুগে দিনে দিনে কারিগরি শিক্ষার মান
  উন্নয়ন হচ্ছে। প্রযুক্তি সকল বিষয়ক শিক্ষাকে কারিগরি শিক্ষা বলা হয়ে থাকে
  কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা টেকনিশিয়াল
  মেকানিক্যাল কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার,ফুড টেকনোলজি, আর্কিটেকচার
  এ সমস্ত বিষয়গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
  আরো পড়ুনঃ ভারতী ভিসা করতে কতদিন লাগে তা জানুন
  আপনি যদি কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে না
  জেনে থাকেন তাহলে আমাদের পোস্টে পড়ে জানুন কেননা এবং আপনি পড়ার আগে এটাও জেনে
  নিন কারিগরি শিক্ষা সুবিধা ও অসুবিধা,কারিগরি ও বৃদ্ধিবলের শিক্ষার পার্থক্য,
  কারিগরি শিক্ষার উপকারিতা, কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব, কারিগরি শিক্ষার লক্ষ্য ও
  উদ্দেশ্য কি হতে পারে এই সমস্ত বিষয়।
কারিগরি শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
  কারিগরি শিক্ষার লক্ষ্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ যুগোপযোগীকরণ
  মানবসম্পদ উন্নয়ন অর্থনৈতিক সম্মাননা অর্জনে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন কেন্দ্র।
  কারিগরি শিক্ষার উদ্দেশ্য একটি মান উন্নয়ন কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা
  প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনে নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রণয়ন প্রকল্প
  বাস্তবায়ন করা আদর্শ মান নির্ধারণ করা।
  যে শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীকে তাদের নির্দিষ্ট শিল্প ও পেশাগত বাস্তবায়িতার
  সাথে লিপ্ত করে ফেলে তাকে কারিগরি শিক্ষা বলা হয় কারিগরি শিক্ষা হয়েছে
  ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিকেলের মত বহুল পপরিচিত সমস্যার বিকল্প সমাধান। যদি আপনাদের
  সহজ ভাবে বলতে যাই কারিগরি শিক্ষা হয়েছে প্রযুক্তি এবং শিল্প বিষয়ক ব্যবহারিক
  জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন প্রদানকারী শিক্ষা ব্যবস্থা।
  কারিগরি শিক্ষা কি এ বিষয়ে দৃষ্টিপাত করতে গেলে কোথায় আমাদের যে কারিগরি
  শিক্ষার লক্ষ্য সম্পর্কে বেশি পরিলক্ষিত করতে হবে নিজে কারিগরি শিক্ষার
  লক্ষ্যসমূহ এবং উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হলো ঃ -
- কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সকল ক্ষেত্র সাম্য ও সমতা নীতি প্রতিষ্ঠিত তৈরি করা।
- দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের জন্য উপযোগী মানব সম্পদ তৈরি করা।
- মানসম্মত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে দেশে উন্নয়ন ঘটানো।
- শিক্ষা ব্যবস্থায় আরও বেশি সুশাসনের জোরদার করা।
- দেশে প্রচুর পরিমাণে বেকার থাকায় ছেলে মেয়েদের বেকারত্ব কমানো
- প্রযুক্তি নির্ভর দেশ হিসেবে নিজের দেশকে প্রযুক্তির দিক দিয়ে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
- বেকার ছেলেমেয়েদের পরিমান কমিয়ে ফেলে আরও শিল্প উন্নয়ন করা
- বিমানবন্দর এবং বড় বড় টাওয়ার বহুতল বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে খুব দ্রুত তৈরি হবে নির্মাণ কাজ করা
- আর্থিকভাবে দেশকে উন্নয়ন করা
- অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি সাধন করা শিল্পের ব্যবস্থার মাধ্যমে
- এবং শিল্প ব্যবস্থার উন্নতির জন্য নিত্য নতুন শিল্প পদ্ধতি আবিষ্কার করা।
- ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যুগের ক্ষেত্রে মেকানিক্যাল এবং টেকনিক্যাল কাজগুলো আবিষ্কার করা এবং দেশকে উন্নয়ন উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।
  মেকানিক্যাল এবং টেকনিক্যাল কাজের ব্যবহার করে দেশে বেকার  ছেলে মেয়েদের
  হার কমিয়ে আনা।আপনি এ সমস্ত বিষয়গুলোকে কারিগরি শিক্ষার লক্ষ্য উদ্দেশ্য বলতে
  পারেন। এই সমস্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণের জন্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্টিত হয়েছে
  বর্তমানে বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষা অনেক বেশি প্রভাব রয়েছে শিল্প কারখানা ও
  বিভিন্ন প্রকার উন্নয়নমূলক কাজের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব
  বর্তমান সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে সান্নিধ্য থেকে বাস্তবধর্মী হাতে কলমে যে
  সমস্ত শিক্ষা অর্জন করা হয় তাই হলো কারিগরি শিক্ষা। যে শিক্ষার মাধ্যমে
  শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প কৃষি কলকারখানা,ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্যাল
  টেকনিক্যাল সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং আর্কিটেকচার দের মত যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য
  আধুনিক বিজ্ঞান মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।
  আমাদের শ্রমবাজারের ডিজিটাল প্রযুক্তির আধুনিকায়নের মাধ্যমে শ্রমিক রূপান্তর এবং
  দেশের শিল্পয়নের কারিগরি শিক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।বর্তমান
  সময়ে আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব এতটাই বেশি যে শতভাগ কর্মসংস্থান তার
  প্রমাণ মিলে তাদের হাতে কলমে শেখার পরে। দেশের প্রয়োজন দক্ষ কারিগরি দক্ষ
  অপারেটরসবাইকে বিয়ে এবং এমএ পাস করা মাস্টার্স পাস করার কোন দরকার নেই।
  আরো পড়ুনঃ  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কাকে বলে
  কারন এই সমস্ত বিষয়ে সার্টিফিকেটধারীকে চাকরি দেওয়ার সুযোগ আমাদের দেশের নেই।
  আর আপনি যদি এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত না হন তাহলে বিদেশে চাকরির সুযোগ নেই
  বললেই চল। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নত দেশগুলোর কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে আজ
  তাদের দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। হয়ে আধুনিক উৎপাদনমূলক কাজের দেশের ক্ষমতা
  বৃদ্ধির পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উপকরণ ব্যবহার করে শিল্প ও কৃষি ক্ষেত্রে
  বহু উন্নয়ন ঘটিয়েছে।
  কারিগারি শিক্ষার মাধ্যমে শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা ও দক্ষ আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারে
  প্রবেশ করে জনশক্তি ও বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করতে বৃদ্ধি করে। কারিগরি শিক্ষার
  মাধ্যমে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়। প্রয়োজনের জীবন যা যার মান উন্নয়ন ও
  অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা সম্ভব হয়।
  স্বনির্ভরতাঃ বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিযোগী শিক্ষার্থীকে
  স্বনির্ভর হতে সহায়তা করে সুতরাং শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষার ফলে কোন চাকরির সুযোগ
  পাই নয় তো তারা স্বনির্ভর কাজে যুক্ত হয়ে যায়।
  শ্রমের প্রতি মর্যাদাঃ সবশেষে বলতে পারেন শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষা
  কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে কায়িক শ্রম অর্জন করে সেও তো তাদের প্রতি সবসময়
  মর্যাদা বোধ তৈরি করা।
  কর্মের সুযোগ: বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের কর্ম দক্ষতা
  অর্জনের কারণে তারা নিজেরাই চাকরি বা কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে।
  উৎপাদনশীলতাঃ বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা উৎপাদনমূলক
  কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সমাজ ও দেশের জন্য উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে। বাংলাদেশের
  বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থিক উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষার দ্রুত অপরিসীম।
  কারিগরি শিক্ষায় শ্রমিকেরা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে, এতে করে শ্রমিক সহজেই দেশীয়
  আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারে প্রবেশ করে দুঃখ ও জনশক্তি এবং বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ
  বৃদ্ধি করে। কারিগরি শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়,
  প্রয়োজনীয় মূল্যবোধ অর্জন করে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ওই দেশের অর্থনৈতিক
  উন্নয়ন করা সম্ভব হয়।
কারিগরি শিক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা
  শিক্ষিত হওয়ার পরে যেন বেকার বসে থাকতে না হয় সেজন্য কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত
  হওয়া অত্যন্ত জরুরী কারণ লেখাপড়া শেষ চাকরি মিলছে না চাওয়া পাচ্ছিনা তাকে
  সুযোগ নিজেকে নিয়ে আছি অনেক হতাশায়।তাই কারিগরি শিক্ষার শিক্ষিত হওয়ার মেইন
  উদ্দেশ্য হলোহাতে কলমে শিক্ষার পাশাপাশি এ বিষয়ে অনেক জ্ঞান অর্জন করা যায়
  পাশাপাশি তাদের নির্দিষ্ট ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী তাদের প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান
  অর্জন করা যায়।
  তাই এই মাধ্যমে আপনি নিজেকে একজন চাকরি পাওয়ার যোগ্য করে তুলতে পারবেন যাতে করে
  প্রায় পাস করি বেকার এই বাংলাদেশে বেকার থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। এ
  রেজাল্ট দিয়ে কি হবে কোথায় ভর্তি হব কোন কলেজে ভর্তি হব জীবনে কিছু করতে পারবো
  কিনা নানাব প্রশ্ন সম্মুখীন হতে হয়।সম্প্রীতি প্রকাশিত এসেছি রহমান পরীক্ষা ২০২৩
  ফলাফলের পর অনেকেই বাবা মার কাছে এমন অনেক কথা শুনতে হয়।
  এতগুলা পরীক্ষা আশানুরূপ ফল না পাওয়ায়। একটির পর একটি জীবনে পরীক্ষা তো রয়েই
  গেছে অনার্স মাস্টার্স সম্পূর্ণ করেও অনেক সময় চাকরি জোটে না আবারো বেকার থাকতে
  হয় অনেকেই তাই আজকে আমি আপনাদের জানাবো কারিগরি শিক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা।
  আপনি যদি কারিগরি শিক্ষা নেন তাহলে বর্তমান সময়ে বিশ্বজোরে কর্ম মিলবে। কারিগরি
  শিক্ষা বোর্ডের প্রতিপাদ্য বিষয়ের মধ্যে এটি হলো একটি।বর্তমানে বাংলাদেশে
  অনুপ্রাসটি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আছে এর মাঝে পুরনো ইনস্টিটিউটের সংখ্যা
  ২০, যেগুলো পুরোপুরি সরকারি,এবং নতুনভাবে রাজস্ব ভক্তের সংখ্যা পাঁচ, প্রকল্প
  ভুক্ত ১৮, ও মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিউট এর সংখ্যা ৩,পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের
  সংখ্যা ৩।
  এছাড়া ২০০৪ সালে বাজেভাবে দেশের উনপঞ্চাশটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রথম ও
  দ্বিতীয় পালায় পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। ২০০৮-৯ সালে কারিগরি শিক্ষা
  ব্যবস্থা তেমন গুরুত্ব ছিল না তবে জাতীয়ভাবে শিক্ষা নীতি ২০১০ এ বাংলাদেশের
  কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা বেশ গুরুত্ব পেয়েছে।বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এক
  প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে।
  ডিপ্লোমা এবং ভোকেশনাল ও জাতীয় দক্ষতার মান বিভিন্ন শিক্ষাক্রমে ২০০৮ সালের পর
  থেকে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থীর বেড়েছে পিছনে সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দুই
  হাজারের বেশি এই বৃদ্ধির কারণে কারিগরিতে মোট শিক্ষার্থীর হার প্রায় ৮%
  পৌছাইছে।এসেছি জন্য ভোকেশনাল শিক্ষা প্রদান করেছে এক হাজার ৭০০ বেসরকারি
  প্রতিষ্ঠান এর মত এবং ৬৮টি সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান।
  বর্তমানে সারাদেশের ডিপ্লোমা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানগুলো ৫১টি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং
  374 টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে। এছাড়াও এসেছি ভোকেশনালের ক্ষেত্রে প্রায়
  ২হাজার ৩০২ টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও 141 টি সরকারি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম
  পরিচালনা করা হচ্ছে। কারিগরি ও বিলের শিক্ষার মান উন্নত দেশগুলো অনেক এগিয়ে গেছে
  ছেড়ে তুলনায় বলা যায় আমাদের দেশ পিছিয়ে রয়েছে বহু দিক থেকে।
  পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলোতে নিজের পছন্দের বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স করা যেতে পারে।
  তবে আপনি যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চান তাহলে আপনাকে আগেই খোঁজ নিতে
  হবে প্রাতিষ্ঠানিক নিবন্ধন ও পড়াশোনার মান উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি যদি
  কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করেন তাহলে আপনি সবচেয়ে বড় সুযোগ পাবেন দেশ-বিদেশে
  বিভিন্ন ফেতনামা সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার। এছাড়াও আপনি বিএসসি ইন
  ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিও পাওয়া করতে পারবেন।
  এই শিক্ষার মূল লক্ষ্য দক্ষ সরকারি চাকরি গুলোতে উপ প্রকৌশলী প্রধান প্রকৌশলী
  হওয়া পর্যন্ত।পারহাউজ ভিডিওতে এবং কম বিতরণ কোম্পানি টেক্সটাইল টেকনিক্যাল
  সিরামিকস বিভিন্ন কল কারখানা এবং টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলোতে চাকরির সুযোগ
  সুবিধা রয়েছে সুবিধায় আপনি বেতন পেতে পারেন ৮ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত
  এছাড়াও মাধ্যমে ও প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকতা করতে পারবেন।
  কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ হয়ে দেশের বাইরে গিয়েও আপনি ভালো মানের চাকরি করতে
  পারবেন যা বেতন ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে এছাড়াও আপনার দক্ষতার
  উপর নির্ভর করে বেতনের পরিসীমা। কারিগরি শিক্ষার সুযোগ সুবিধা এত বেশি হওয়ার পরে
  কারিগরি শিক্ষার ভর্তির হার দিন দিন কমছে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় মূল
  শিক্ষার্থী ৮ লাখ ৭২ হাজার ৫৬৮ জন এদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা রয়েছে ২ লাখ
  ৮হাজারজ ৮৭০ জন। 
  আরো পড়ুনঃ Url এর কাজ কি? Url কিভাবে কাজ করে জানুন
  2016-17 সরকারের জেন্ডার বাজেটের এক প্রতিবেদনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে ২০২০ সালের
  মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় বিশ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি করতে চাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ
  লক্ষ্য অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে
  এবং শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
কারিগরি শিক্ষার উপকারিতা
  কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের দক্ষ কারিগর হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ্যতা হিসেবে
  ফিট করে তোলে। কারিগরি শিক্ষা প্রকল্পে পেশা ও কর্মসংস্থানের জন্য খুব ভালো
  সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যে শিখা প্রযুক্তি ও দক্ষতার বিশেষ ব্যবহারিক হাতে-কলমে
  প্রদান করে তা কারিগরি শিক্ষা নামে পরিচিত। সাধারণ শিক্ষা থেকে কারিগরি শিক্ষা
  সম্পদের আলাদা কারিগরি শিক্ষা স্বাধীন ও আছে শিক্ষা উন্নয়ন করে।
  কারিগরি শিক্ষা কর্মসংস্থানের জন্য ভালো সুযোগ সুবিধা প্রদান করে এটি কর্মজীবনের
  সফল করতে অনেক বড় গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বেকারত্বের এই যুগে কারিগরি শিক্ষায়
  হতে পারে বেকারত্বের চাবিকাঠি বেকার বাচ্চাদের আয়ের উৎসএবার আরামদায়ক জীবন যাপন
  করতে কারিগরি শিক্ষা অপরিসীম।
  আপনার যারা এখনো প্রচলিত প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন আধুনিক সিস্টেমের স্বল্প
  প্রাসঙ্গিকতা পাশ করেছেন তারা হয়তো খুব সহজে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন না তারা
  বেশি বেশি স্বাভাবিকভাবে হতাশার শিকার হয়ে আধুনিক বিশ্বের নিজেদেরকে দ্বিধান্বিত
  করে।কারিগরি দক্ষতা পূর্ণ একটি দেশ যথেষ্ট টেকনিক্যাল ঘাটের মালিক নিঃসন্দেহে তা
  উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি করে।
  কারিগরি হাত বেকার হতে পারে না। অন্যদিকে কারিগরি হাতে অন্য চাকরির জন্য অনুরোধ
  করার প্রয়োজন হয় না কারিগরি শিক্ষার উপকারিতা আমার আপনার সবার জন্য প্রয়োজন
  তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেল থেকে কারিগরি শিক্ষার উপকারিতা বিষয়ক বিষয়বস্তু
  জানতে পেরেছি। তাই আপনি কি করবেন সে বিষয়ে পরিকল্পনা করুন।
কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা
  টেকনিক্যাল বা কারিগরি শব্দ বা কথাটির অর্থ হল শিল্প প্রণালীর দক্ষতা অর্জন করা।
  বিশেষ শিক্ষার মাধ্যমে এই প্রণালীগত দক্ষতা বিকাশ ঘটানো সম্ভব হয় তাকে কারিগরি
  শিক্ষা বলে। সুতরাং যে শিক্ষার দ্বারা শিক্ষার্থীরা শিল্প ও বাণিজ্য কৃষি ও কল
  কারখানার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি সহায়ক প্রশিক্ষণ হয় সেই
  শিক্ষাকে বলে কারিগরি শিক্ষা।
  আরো পড়ুনঃ
  ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
  যেমন কি শিখেছে আধুনিক যন্ত্রপাতি কল কারখানার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি সামগ্রী
  পরিচালনা দক্ষতা অর্জন করা এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থায় মানুষের জীবনের জীবিকা
  নির্বাচনের জন্য কারিগরি শিক্ষা গুরুত্ব অপরিসীম। কারিগরি শিক্ষায়
  প্রতিষ্ঠানগুলো হল :-
- মেডিকেল কলেজ
- কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
- পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- জুনিয়র টেকনিক্যাল স্কুল
- চিত্রকলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
  দৈনিক শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য শুরু থেকে প্রস্তুত
  করা education should be developed as to increase productivity. অর্থাৎ
  উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা অবশ্যই করতে হবে। বৃত্তিমুখী ও কারিগরি
  শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা গুলোর নিচে সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হলো -
  উৎপাদনশীলতাঃ বৃত্তিমুখী ও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের একটি
  উৎপাদনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত করে সমাজ ও দেশের উন্নত সাধন করা।
  জাতীয় আয় বৃদ্ধি করাঃ বৃত্তিমুখী ও কারিগরি শিক্ষা যেহেতু উৎপাদন
  ভিত্তিক শিক্ষা তাই এই শিক্ষা দেশের জাতীয় আয় ও দেশের উন্নয়নের সহায়তা করে।
  শিক্ষার্থীকে আটটি স্বচ্ছলতা দান করেন: কারিগরি শিক্ষায়
  শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যৎ জীবনে আর তুই সচলতায় এনে দিতে সহায়তা করে এ শিক্ষায়
  উৎপাদনের পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধি করে। কারিগরি শিক্ষা শুধু ব্যক্তির৩৮ সচরাতে
  বৃদ্ধি করে তাই নয় সমাজ ও দেশের আর্থিক উন্নয়নের সহায়তা করে।
  বৃত্তি শিক্ষা গ্রহণ করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দেয়: অনেক
  ক্ষেত্রে বিথী বলে কও কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করে কিছু অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয়।
  এই অর্থ পড়ার খরচ চালাতে সাহায্য করে সেক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষার উপযোগিতা
  সাধারণ শিক্ষার তুলনায় অনেক গুণ বেশি।
  ব্যতিক্রমী শিক্ষার্থীদের জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে সহায়তা করেঃ ব্যতিক্রমী অর্থাৎ প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য বৃত্তিমূলক শিক্ষা
  বিশেষভাবে প্রয়োজন তাদের মধ্যে অনেকেই আছে সাধারণ ধর্মী শিক্ষায় খুব একটা
  পারদর্শী অর্জন করতে পারে না এর পরবর্তী কোনো বিশেষভাবে বৃত্তিমূলক শিক্ষা নিলে
  হাতে কলমে তারা কিছু উৎপাদন করতে পারবে এবং অর্থ উপার্জনের সক্ষম হয়ে উঠবে।
  শ্রমের প্রতি উৎসাহঃ বৃত্তিমুখী ও কারিগরি শিক্ষা শিক্ষার্থীদের সবে
  মর্যাদা করতে শেখায় এছাড়া নৈতিক চরিত্র গঠনে সহায়তা করে।
  কর্মের সুযোগ: বৃত্তিমূলক কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের কর্মের
  বৃদ্ধি করে চাকরির জন্য হতাশা হওয়া লাগে না কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জনে
  চাকরি বা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।
  অর্থনৈতিক নিরাপত্তা প্রদান: বহুমুখী ও কারিগরি শিক্ষায়
  শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ জীবনে জীবিকা অর্জনের জন্য কারিগরি শিক্ষা জীবনের অর্থনৈতিক
  নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।
  শ্রমের প্রতি মর্যাদা: বৃত্তিমূলক কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের
  সভাপতি মর্যাদা উপলব্ধি করতে সহয়তা করে। সমাজের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে নৈতিক
  চরিত্র গঠনে প্রকাশ শিল্পের অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
  উন্নয়নে সাহায্য করে: বৃত্তিমুখেও কারিগরি শিক্ষা যাদের উন্নয়নের
  প্রধান ভূমিকা। দেশ ও জাতির উন্নয়নে শিল্পের প্রয়োজন অত্যন্ত বেশি আর এ শিল্পের
  জন্য প্রয়োজন দক্ষ কারিগরের আর এস আমার সাথে দেখো কারিগর বউ বৃত্তিমুখী ও
  কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দিন দিন তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে সুতরাং উপরে আলোচনা থেকে
  আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে বৃত্তিমূলক কারিগরি শিক্ষা ও পেশাগত
  শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।
কিছু মন্তব্য: কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কারিগরি শিক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা
  প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে
  পড়ে কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা
  কারিগরি শিক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ সময়
  ধরে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি এই আর্টিকেলটি
  আপনার অনেক ভালো লেগেছে যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার একান্তভাবে ভালো লেগে
  থাকে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে এবং আপনার আত্মীয়র সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন
  না।
  আশা করছি এই পোস্টটি আপনার কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক উপকারে আসবে তাই আপনি
  যদি এমন আরো আর্টিকেল করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। তো
  বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই আবারো কথা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভাল
  থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

আলোড়ন আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url